• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
খালেদা জিয়ার যাবজ্জীবন সাজা চায় দুদক

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া

সংগৃহীত ছবি

আইন-আদালত

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা

খালেদা জিয়ার যাবজ্জীবন সাজা চায় দুদক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৩ অক্টোবর ২০১৮

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আপিল ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে আনা আবেদনের ওপর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষ হয়েছে।

বিচারপতি এম, ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে এ মামলার আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

এ মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে যাবজ্জীবন চেয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

খুরশীদ আলম খান জানান, দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি শেষ করেছে। আসামিপক্ষের আইনজীবীদের সময়ের আবেদন মঞ্জুর না হওয়ায় তারা আদালত কক্ষ থেকে চলে যান। আদালত আদেশের জন্য কাল বুধবার দিন রেখেছে। খুরশীদ আলম বলেন, এ মামলায় সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন। আমরা খালেদা জিয়ার সাজা বাড়াতে আবেদন করেছি। তাই শুনানিতেও সর্বোচ্চ সাজার আর্জি পেশ করেছি।

এ মামলায় ছয় আসামির মধ্যে খালেদা জিয়াসহ তিনজন কারাবন্দি। বাকি তিন আসামি পলাতক। খালেদা জিয়া ছাড়া মামলার বাকি দুই আসামি হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ। পলাতক তিনজন হলেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও তারেক রহমানের ফুফাত ভাই মমিনুর রহমান।

রাজধানীর বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান গত ৮ ফেব্রুয়ারি মামলাটিতে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেয়। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সালিমুল হক কামাল, শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদন্ড দিয়ে রায় দেয় আদালত। এ রায় বিষয়ে হাইকোর্টে ২০ ফেব্রুয়ারি আসামীপক্ষে আপিল দাখিল করা হয়। গত ২২ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ এবং অর্থদন্ড স্থগিত করে বিচারিক আদালতের নথি তলব করে হাইকোর্ট।

অপরদিকে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়ানোর জন্য দুদক আবেদন করে। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৮ মার্চ আবেদনে রুল জারি করে হাইকোর্ট।

এছাড়া আসামী সলিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিনের আপিলও শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে হাইকোর্ট। এখন তিন আসামির আপিল ও দুদকের আবেদনের রুল বিষয়ে আদালতে শুনানি হয়।

মামলায় খালেদা জিয়াকে ১২ মার্চ হাইকোর্ট চার মাসের জামিন দেন। পরবর্তীতে কয়েক দফা তার জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এ মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের দিন থেকেই কারাবন্দি থেকে দণ্ড ভোগ করছেন খালেদা জিয়া। এখন উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বিএসএমএমইউ’তে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads